রাজশাহীর বাগমারায় সাত বছরের শিশু মারুফ হাসানের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। মারুফের বাবা ও সৎ মায়ের দাবি তাকে জিনে মেরে ফেলেছে। তবে মারুফের নিজের মায়ের অভিযোগ তার সন্তানকে মেরে ফেলে সৎ মা ও তার বাবা।
শুক্রবার দুপুরে লাশ দাফনের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পুলিশ পৌঁছে মারুফের লাশ ময়না তদন্তের জন্য রামেক মর্গে পাঠিয়েছেন। ঘটনাটি শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামের।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, মারুফের বাবা শাজাহান দিনমজুর। প্রথম স্ত্রী মারা গেলে মারুফের মা মারুফা বেগমকে বিয়ে করেন। মারুফের জন্মের তিন বছর পর শাজাহানের সঙ্গে মারুফার বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে শিশু মারুফ সৎ মা মুক্তা খাতুন ও তার বাবার কাছেই থাকত।
এলাকাবাসী আরও জানায়, শুক্রবার সকালে শাজাহান কাজে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর মারুফের সৎ মা স্বামীকে ফোনে জানায়, মারুফ অস্বাভাবিক আচরণ করছে। পরে পার্শ্ববর্তী কবিরাজের কাছ থেকে পানি পড়া এনে খাওয়ায়।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মারুফ মারা যায়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মারুফকে কাফন পরিয়ে দাফনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এ সময়ে পুলিশ নিয়ে ছুটে আসেন মারুফের আপন মা মারুফা বেগম। তিনি লাশ দাফনে বাধা দিয়ে অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে তার বাবা ও সৎ মা মিলে মেরে ফেলেছে। ফলে পুলিশ মারুফের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
বাগমারা থানার এসআই রিপন কুমার বলেন, মারুফের বাবা, সৎ মাসহ প্রতিবেশীরা বলেছেন, মারুফ প্রায়ই অস্বাভাবিক আচরণ করত। তার ওপর জিনের আছর ছিল। অচেতন হয়ে পড়ত মাঝে মাঝে। তার আপন মায়ের অভিযোগ পেয়ে লাশের ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘটনাটি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।