চলমান লকডাউনের মধ্যে সিলেট নগরীর কাজিরবাজাররে বসছে পশুরহাট। পশুরহাটে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে চরমভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হলেও এক শ্রেণীর মুনাফাভোগী ইজারাদার মানছেন না সরকারি বিধি-নিষেধ।
পশুরহাটে শরীরের সাথে শরীর লাগিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ক্রেতা-বিক্রেতা। গা-ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কেউ দরদাম করছেন, কেউ পশু কিনে পিকআপে তুলছেন। উপস্থিত ক্রেতা-বিক্রেতাদের অধিকাংশের মুখে ছিলো না মাস্ক। সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই পশুহাটে। সরকারি নির্দেশনার তোয়াক্কা না করেই বাজার পরিচালনা করছেন ইজারাদাররা।
শুক্রবার কাজির বাজার পশুহাটে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এতে প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
তবে গরু ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোরবানি ঈদ উপলক্ষে পশু কোরবানি, খামারি ও ইজারাদারদের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল পশুরহাটই খুলে দেওয়া উচিৎ। না হয় ব্যবসায়ীরা বড় ধরণের লোকসানে পড়বেন।
গরুর বাজার দেখতে আসা একজন বলেন, সবকিছু স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলছে। কেউ তো সামাজিক দূরত্ব মানছে না। এমন কি মুখে মাস্কও ব্যবহার করছে না। ব্যবসায়ীরাও ক্রেতাদের কিছুু বলছে না।