ব্রেন্ডান টেলরের দলকে আজ হারাতে পারলেই এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিজেদের করে নেবে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায়। সরাসরি সম্প্রচার করবে টি স্পোর্টস ও গাজী টেলিভিশন।
সিরিজের একমাত্র টেস্ট ম্যাচে ব্যাটে-বলে দ্যুতি ছড়িয়েছেনে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। সেই ধারাবাহিকতা ছিল প্রথম ওয়ানডে ম্যাচেও। প্রথম ওয়ানডের শুরুতে মুজারাবানি-লুক জঙ্গওয়েদের বোলিং দাপটে কোণঠাসা হয়ে পড়লেও দায়িত্বশীল লিটন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দায়িত্বশীল ইনিংস ও শেষ দিকে আফিফ হোসেনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে চাপমুক্ত হয় বাংলাদেশ।
এদিকে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন সাকিব-তাসকিন-সাইফউদ্দিনরাও। সাকিব একাই কাবু করে ফেলেন জিম্বাবুয়েন ব্যাটসম্যানদের। মাত্র ৩০ রান খরচায় পান ৫টি উইকেট।
প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশিত ফলের পর এবার দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ে চোখ বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর। ম্যাচপূর্ব ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানালেন সে কথাই, ‘আমরা এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করতে চাই। এবার সাকিব-তামিমকে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে হবে। আর উদীয়মান ব্যাটসম্যানদেরও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।’
প্রথম ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে মাত্র ৩ ওভার বল করিয়েছেন অধিনায়ক তামিম। ওই ম্যাচে উইকেট পাননি এই অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ থাকছে তার সামনে। গতির ঝড় তুলে স্বাগতিকদের চেপে ধরার সক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশি পেসারদেরও। আর সাকিবের ঘূর্ণি তো থাকছেই।
প্রথম ম্যাচ জিতলেও জিম্বাবুয়েকে ছেড়ে কথা বলার কিছুই নেই। কেননা ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে বরাবরই শক্তিশালী। ব্যাট হাতে ব্রেন্ডান টেলর, রেগিস চাকাভা এবং ওয়েসলি মাধেভেরেরা যেকোনো সময়ই ভয়ংকর হয়ে ওঠার যোগ্যতা রাখেন। আর বোলিংয়ে তাদের তো ব্লেসিং মুজারাবানি এবং টেন্ডাই চাতারার মতো পরীক্ষিতরা আছেনই। তাই সিরিজ জিততে হলে দলীয় পারফরম্যান্সের কোনো বিকল্প নেই। প্রসঙ্গত দুদলের ওয়ানডে পরিসংখ্যানে ঢের এগিয় রয়েছে বাংলাদেশ। ৭৭ বারের দেখায় ৪৯ বার হেসেছে টাইগাররা। আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করতে মরিয়া তারা।