বিশেষ সংবাদদাতা ::
এতকিছুর পরও বন্ধ হচ্ছেনা জুয়া সম্রাট খ্যাত আল আমিনের জুয়ার আসর। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায় ভারতীয় শিলং তীর খেলাসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধ কর্মকান্ড দিন দিন বেড়েই চলেছে।
বিগত দিনে এসব অপরাধ প্রবনতা কমলেও বর্তমানে তা বিস্তার লাভ করে চলেছে। তীর জুয়ার পাশাপাশি টিকটিকি নামীয় আরেক জুয়া ও তিন তাশি জুয়া খেলার ব্যবসায় সয়লাব দক্ষিণ সুরমা এলাকার চাদনিঘাটের মাছ বাজার এলাকা, আর এসব অপরাধ কর্মকান্ডের মুলহোতা হচ্ছে সিলেটের শীর্ষ জুয়াড়ি আল আমিন। সে অনেকসময় নিজেকে পুলিশের সোর্স হিসেবেও পরিচয় দিয়ে আসছে বলে জানা যায়।
দক্ষিণ সুরমার চাঁদনীঘাটের মাছ বাজারের ভিতরে তীর খেলার মদতদাতা হলো স্থানীয় এই ব্যক্তি, যমুনা মার্কেটের সামনে, রেলওয়ে স্টেশনের ভিতরে রয়েছে আল আমিনের জুয়ার আসরসহ,আরো কয়েকটি জুয়ার বোর্ড।
২০১৮ সালে তৎকালীন এডিসি জেদান আল মূসার নেতৃত্বে রাত ১ টার সময় জুয়ার আসর থেকে আল আমিন ও তার সহযোগীদের আটক করা হয়। পরদিন তাদেরকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আটককৃতদের সাজা প্রদান করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
আল আমিন জেল থেকে বের হওয়ার পর দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ীকে ম্যানেজ করে আবারও অপরাধ কর্মকান্ডে বেপরোয়া ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
সারারাত মটরসাইকেল যোগে দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন পয়েন্টে আল-আমিন ঘুরাফেরা করে। এতে করে মধ্যরাতের বাস যাত্রী কিংবা রেলযাত্রীরা তাদের বেপরোয়া চলাচলে আতংকিত হয়ে পড়েন।
দক্ষিণ সুরমার কদমতলীর স্থানীয় এক রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী জানান, আল আমিন প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল নিয়ে বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা করে।
এতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রেলযাত্রী ও বাস যাত্রীরা ভয়ে বিপাকে পড়েন। দক্ষিণ সুরমা থানাধীন কদমতলী পুলিশ ফাঁড়ীর সদস্যদের সাথে রয়েছে আল আমিন ও তার জুয়াড়ীদের গভীর সুসম্পর্ক। যার ফলে এই জুয়াড়ীরা বেপরোয়া।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এতো কিছুর পরও প্রশাসনের উদাসীনতায় বারবার সবকিছুর উর্ধে থেকে যাচ্ছে কুখ্যাত জুয়াড়ী আল আমিন ।
এ ব্যপারে জানতে আল আমীনের মুঠোফনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ভাই আমি একা এ জুয়ার আসর দুটি পরিচালনা করি না আমার সাথে আর দুইজন আছেন,এ কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন ।
এ ব্যপারে দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হোসেন”র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা আইন বহির্ভূত কোন কাজ করে এমন ব্যাক্তির নিকট বিক্রি হয়ে যাইনি,আপনি আমাকে লোকেশন গুলো বলেন। আমি নোট করে রাখছি,এবং এসব জায়গায় আমরা শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করবো ।
এ ব্যপারে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন আমি ওমরাহ হজ্বে ছিলাম গতকাল এসেছি । এসব জুয়াড়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান আছে,এসব আগাছা আমরা সবসময় পরিষ্কার করে রাখি,আমার অবর্তমানে যদি আবার নতুনকরে গঁজায় তাহলে তা পরিষ্কার করা হবে, এতে আপনাদের সাংবাদিক সমাজেরও সহযোগিতা প্রয়োজন ।