মোঃ আমজাদ হোসেন বাচ্চু, স্টাফ রিপোর্টারঃ
শ্রীমঙ্গল উপজেলার ২ নং ভূনবীর ইউপি’র ভূনবীর চৌমুহনায় অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিক্রির আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বালু ব্যবসায়ী জলিল মাহমুদ গং ও ফেরদৌস আহমেদ গং এর মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় (২৯ এপ্রিল) শনিবার সন্ধ্যার দিকে অবৈধ বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে উপজেলার আলীসারকুল গ্রামের বালু ব্যবসায়ী জলিল মাহমুদের ভাইপো ও মৃত জয়নাল মেম্বারের পুত্র জাহিদুল ইসলাম রনির দায়ের কোপে আরেক ব্যবসায়ীর ফেরদৌস আহমেদ’র সহোদর বুলবুল আহমদ’র হাত কনুই থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে ঝুলে যায়। হাতের অবস্থা আশংকাজনক। এসময় আরও কয়েকজন আহত হয়েছে। পূর্বপরিকল্পিত ভাবে জলীল মাহমুদ গং হামলা চালিয়েছে বলে জানায় ফেরদৌস আহমেদ।
তাৎক্ষণিক ভাবে তাকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পরবর্তীতে হাতের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ২৯ এপ্রিল শনিবারেও শ্রীমঙ্গল সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্বন্দীপ তালুকদার ভূনবীর ইউপি’র ভীমসী ও জৈতা ছড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনা করেন। এসময় কাউকে ঘটনাস্থলে না পাওয়ায় বালু উত্তোলনের সরঞ্জামাদি জব্দ ও ধ্বংস করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, ঘটনা শুনার সাথে সাথেই তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযুক্ত রনিকে গ্রেফতার করার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখনো কেউ মালমা দেয়নি, মামলা দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।